স্প্লেইড লেগ সমস্যা
স্প্লেইড লেগ কি?
আমরা অনেক সময় দেখি পাখির পা ছড়ানো থাকে এবং পাখিটি হাটতে পারছে না এবং বড় হলেও সে হাটতে পারেনা বসে বা সুয়েই বেঁচে থাকে। এই সমস্যাকে বলা হয়
splayed legs মানে হলো প্রসারিত পা। এছাড়াও আমরা অনেক সময় দেখে থাকি কিছু পাখির পা স্বাভাবিক পায়ের তুলনা অতিরিক্ত ছড়ানো থাকে, এটা এক ধরনের শারীরিক অস্বাভাবিকতা। এই ছড়ানো পায়ের জন্য পাখি স্বাভাবিক ভাবে হাটতে পারেনা৷ বেশি দিন বাঁচে না এবং বাঁচলেও অন্য সাধারন পাখির মত বাঁচতে পারে না তাই এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয়ে থাকে স্প্লেইড লেগ।
স্প্লেইড রোগ হবার কারনঃ এই রোগের প্রধান ও মুল কারনই হলো মা বাবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। মা বাবাকে যদি পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, মিনারেল ও পুষ্টিকর খাদ্যাবাস কারনো যায় তবেই এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়। এছাড়া ব্রীডিং সিস্টেমের জায়গা সমতল হলে পাখি পা ছড়িয়ে বসতে বসতে পা দুটো শক্ত হয়ে স্প্লেইড রোগে আক্রান্ত হয়। এজন্য আমি হাড়ির সাজেস্ট করি এ ছাড়া এখন বাজারে ভালো মানের ব্রীডিং ব্ক্স পাওয়া যায় যেটা তে মাঝ খানে ট্রে দেয়া থাকে যার মাঝ খান টা একটু গর্ত করা যেটা পাখির বাচ্চা ভাল ভাবে নরাচরা করতে পারে এবং এই সমস্যা এড়াতে পারে।
স্প্লেইড রোগ সনাক্তকরণঃ
বাচ্চাকে হাতে নেয়ার পর সে যদি পা দুটো দু দিকে ছড়িয়ে দেয় এবং হাটতে না পারে তাহলে স্প্লেইড লেগ প্রবলেম বলে ধরে নিতে হবে।
প্রতিরোধঃ প্রথমেই আমাদের প্রতিরোধের কথা গুলো মাথায় আনতে হবে যেমন পাখিকে ব্রীডে দেয়ার আগে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল প্রভাইড করতে হবে কারণ মেটিং শুরু থেকে বাচ্চা লালন পালন করে বড় করা পর্যন্ত পাখির শরীর থেকে অনেক ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের নিঃসরন ঘটে। তাই এই সময়ে পাখিকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম দেয়া নিশ্চিত করা জরুরি। আপনি কেজে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরন করতে ক্যাটেল ফিশ বোন, ভালো মানের বাসায় বানানো গ্রীড, মিনারেল ব্লক এসব দিয়ে রাখবেন পাখি খাবে।
এ ছাড়া মাসিক কোর্সে ক্যালসিয়াম কোর্স অবশ্যই রাখবেন।
ক্যালসিয়াম কোর্সের নিয়মঃ
Calfast 2.5 ml+ Vitamin AD3E 1ml / 1 লিটার (পানিতে) নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানিতে মিক্স করে ৫-৭ দিন দিতে পারবেন।
তবে আবহাওয়া গরম পড়লে যে কোনো মেডিসিন প্রভাইড না করাই বেটার যদি কনো সমস্যা না থাকে।
এবার আসি প্রতিকারেঃ স্প্লেইড লেগ সমস্যা বাচচা পাখির হলে প্রতিকার সম্ভব অন্যথায় বড় হয়ে গেলে এই প্রতিকার কাজে নাও আসতে পারে, তাই বাচ্চা অবস্থায় এই রোগের লক্ষন পেলে দ্রুত ব্যাবস্হা নিতে হবে।
Medicine
Riboflavin ( B2) or
B com vit or
Prithi WS
(1 gm/ mix up with 1 liter water for 7 days) দেয়া যেতে পারে
এছাড়া ও বাচ্চার যদি এই সমস্যা দেখেন তবে একটা ছোট চারকোনা ফোম নিয়ে তাতে দুটো ফুটো করে বাচ্চা পা দুটি ঢুকিয়ে দিতে হবে, যেন বাচ্চার পা ফোমের কারনে স্বাভাবিক ভাবে থাকে, ফুটো দুটো খুব কাছা কাছিও না আবার খুব প্রশস্ত যেন না হয়।
এভাবে তিন দিন রাখুন। ৩ দিনে ঠিক না হলে ৩ দিন পর থেকে সকালে ফোম দিলে দুপুরে খুলে ফেলবেন আাবার বিকালে দিবেন সকালে খুলবেন এভাবে ব্রেক দিবেন যত দিন না ভালো হচ্ছে বাচ্চা ভালো হলে বাচ্চাকে ক্যালসিম কোর্স ৭ দিন করিয়ে দিবেন।
No comments:
Post a Comment